আবরার হত্যা।
নিজস্ব প্রতিবেদক
07.10.2019
12:00pm
বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ খুবই মেধাবী ছাত্র। সে বাঙালিকে কিছু ভুল ধরিয়ে দিয়েছে। আর এ জন্যই জীবন দিতে হয়েছে তাকে। আবরার ফাহাদ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট এর একজন মেধাবী ছাত্র। গত 5 ই অক্টোবর সে তার ফেসবুক পোস্টে কিছু মন্তব্য করেছিল যার জন্য জীবন দিতে হয়েছিল তাকে।
আবরারের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে দেয়া হলো-
১. ৪৭ এ দেশভাগের পর দেশের পশ্চিমাংশে কোন সমুদ্রবন্দর ছিল না। তৎকালীন সরকার ৬ মাসের জন্য কলকাতা বন্দর ব্যবহারের জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ করল। কিন্তু দাদারা নিজেদের রাস্তা নিজেদের মাপার পরামর্শ দিছিলো। বাধ্য হয়ে দুর্ভিক্ষ দমনে উদ্বোধনের আগেই মংলা বন্দর খুলে দেয়া হয়েছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ ইন্ডিয়াকে সে মংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য হাত পাততে হচ্ছে।
২. কাবেরি নদীর পানি ছাড়াছাড়ি নিয়ে কানাড়ি আর তামিলদের কামড়াকামড়ি কয়েকবছর আগে শিরোনাম হয়েছিল।
যে দেশের এক রাজ্যই অন্যকে পানি দিতে চাই না সেখানে আমরা বিনিময় ছাড়া দিনে দেড়লাখ কিউবিক মিটার পানি দিব।
৩. কয়েকবছর আগে নিজেদের সম্পদ রক্ষার দোহাই দিয়ে উত্তর ভারত কয়লা-পাথর রপ্তানি বন্ধ করেছে অথচ আমরা তাদের গ্যাস দিব। যেখানে গ্যাসের অভাবে নিজেদের কারখানা বন্ধ করা লাগে সেখানে নিজের সম্পদ দিয়ে বন্ধুর বাতি জ্বালাব।
হয়তো এসুখের খোঁজেই কবি লিখেছেন-
‘পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও,
তার মত সুখ কোথাও কি আছে
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।’
আবরারের বাবা আবরারের হত্যা প্রসঙ্গে বলেছিলেন তিনি এসবের কিছুই জানেন না। তাছাড়া সে দুই দিন আগে বাসা থেকে ফিরেছে। সে তার বাবাকে বলেছে তার কোন সমস্যা নেই কিন্তু প্রতিবাদী কন্ঠের জন্য আবরারকে জীবন দিতে হলো। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অনেক পরে এ বিষয়ে মুখ খুললেন।,বললেন এর সুষ্ঠু বিচার করা হবে। আবরার হত্যার প্রতিবাদের জন্য সারা বাংলাদেশে সরগরম। আবরার হত্যার প্রতিবাদের দাবিতে একজন বলেছিলেন, বাংলাদেশের সব ছাত্রকে আবরারের দেখানো পথে চলে যেতে, আবরারের আদর্শকে বুকে ধারণ করতে। আবরার কে হত্যাকারী ছাত্রসমাজের হত্যা কারি এবং আরো বিভিন্ন বক্তারা তার সমর্থন করেছেন। এবং তার হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এ বিষয়ে বর্তমানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করছে।
মোহাম্মদঃজিহাদ হাসান
ভোলা জেলা প্রতিনিধি।
নিজস্ব প্রতিবেদক
07.10.2019
12:00pm
বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ খুবই মেধাবী ছাত্র। সে বাঙালিকে কিছু ভুল ধরিয়ে দিয়েছে। আর এ জন্যই জীবন দিতে হয়েছে তাকে। আবরার ফাহাদ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট এর একজন মেধাবী ছাত্র। গত 5 ই অক্টোবর সে তার ফেসবুক পোস্টে কিছু মন্তব্য করেছিল যার জন্য জীবন দিতে হয়েছিল তাকে।
আবরারের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে দেয়া হলো-
১. ৪৭ এ দেশভাগের পর দেশের পশ্চিমাংশে কোন সমুদ্রবন্দর ছিল না। তৎকালীন সরকার ৬ মাসের জন্য কলকাতা বন্দর ব্যবহারের জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ করল। কিন্তু দাদারা নিজেদের রাস্তা নিজেদের মাপার পরামর্শ দিছিলো। বাধ্য হয়ে দুর্ভিক্ষ দমনে উদ্বোধনের আগেই মংলা বন্দর খুলে দেয়া হয়েছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ ইন্ডিয়াকে সে মংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য হাত পাততে হচ্ছে।
২. কাবেরি নদীর পানি ছাড়াছাড়ি নিয়ে কানাড়ি আর তামিলদের কামড়াকামড়ি কয়েকবছর আগে শিরোনাম হয়েছিল।
যে দেশের এক রাজ্যই অন্যকে পানি দিতে চাই না সেখানে আমরা বিনিময় ছাড়া দিনে দেড়লাখ কিউবিক মিটার পানি দিব।
৩. কয়েকবছর আগে নিজেদের সম্পদ রক্ষার দোহাই দিয়ে উত্তর ভারত কয়লা-পাথর রপ্তানি বন্ধ করেছে অথচ আমরা তাদের গ্যাস দিব। যেখানে গ্যাসের অভাবে নিজেদের কারখানা বন্ধ করা লাগে সেখানে নিজের সম্পদ দিয়ে বন্ধুর বাতি জ্বালাব।
হয়তো এসুখের খোঁজেই কবি লিখেছেন-
‘পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও,
তার মত সুখ কোথাও কি আছে
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।’
আবরারের বাবা আবরারের হত্যা প্রসঙ্গে বলেছিলেন তিনি এসবের কিছুই জানেন না। তাছাড়া সে দুই দিন আগে বাসা থেকে ফিরেছে। সে তার বাবাকে বলেছে তার কোন সমস্যা নেই কিন্তু প্রতিবাদী কন্ঠের জন্য আবরারকে জীবন দিতে হলো। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অনেক পরে এ বিষয়ে মুখ খুললেন।,বললেন এর সুষ্ঠু বিচার করা হবে। আবরার হত্যার প্রতিবাদের জন্য সারা বাংলাদেশে সরগরম। আবরার হত্যার প্রতিবাদের দাবিতে একজন বলেছিলেন, বাংলাদেশের সব ছাত্রকে আবরারের দেখানো পথে চলে যেতে, আবরারের আদর্শকে বুকে ধারণ করতে। আবরার কে হত্যাকারী ছাত্রসমাজের হত্যা কারি এবং আরো বিভিন্ন বক্তারা তার সমর্থন করেছেন। এবং তার হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এ বিষয়ে বর্তমানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করছে।
মোহাম্মদঃজিহাদ হাসান
ভোলা জেলা প্রতিনিধি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন